পৃষ্ঠাসমূহ

Translate

আমাদের সাইটে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের সাইটের ডিজাইন এর কাজ চলছে। এবং নিয়মিত পোস্ট হচ্ছে। যে কোন প্রয়োজনে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। যোগাযোগ এর জন্য Email করুন এই ঠিকানায়ঃ mdrommanulislam@gmail.com ধন্যবাদ।

  • Our Mobile Application

    এক দেশ এক অ্যাপ, একটি অ্যাপ এর ভিতরে আমরাই আপনাকে দিচ্ছি আপনার প্রয়োজনীয় সব ওয়েব পেজের লিঙ্ক। তাই আপনার সুবিধার্থে অবশ্যই অ্যাপটি ডাউনলোড করে রাখতে পারেন

  • Facebook Page:

    আমাদের সাথে ফেসবুকে যুক্ত হতে Slide এ Click করুন

  • Smart Touch YT

    This is our YouTube chanel, please subscribe ...

শনিবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৩

Akashe_Batase_Dance___Cover_Songs__Folk_Creation____exported_ Smart Touch

বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই, ২০২৩

ভূমি বিষয়ক নিম্নের তথ্যাবলী প্রত্যেকেরই জানা উচিত!

ভূমি বিষয়ক নিম্নের তথ্যাবলী প্রত্যেকেরই জানা উচিত!



ভূমি বিষয়ক নিম্নের তথ্যাবলী প্রত্যেকেরই জানা উচিত! 

“পর্চা”, “দাগ”, “খতিয়ান”, “মৌজা”, “জমা খারিজ”, “নামজারি”, “তফসিল” ইত্যাদি বিষয়ের ডেফিনেশন এবং জেনে নিন ভূমি বিষয়ক জরুরী সব তথ্য।


১!“নামজারী” বা মিউটেশন কাকে বলে?
ক্রয়সূত্রে/উত্তরাধিকার সূত্রে অথবা যেকোন সূত্রে জমির নতুন মালিক হলে নতুন মালিকের নাম সরকারি খতিয়ানভুক্ত করার প্রক্রিয়াকে নামজারী বলা হয়।

২!“জমা খারিজ”কাকে বলে?
যৌথ জমা বিভক্ত করে আলাদা করে নতুন খতিয়ান সৃষ্টি করাকে জমা খারিজ বলে। অন্য কথায় মূল খতিয়ান থেকে কিছু জমির অংশ নিয়ে নতুন জোত বা খতিয়ান সৃষ্টি করাকে জমা খারিজ বলে।

৩!“খতিয়ান” কাকে বলে?
ভূমি জরিপকালে ভূমি মালিকের মালিকানা নিয়ে যে বিবরণ প্রস্তুত করা হয় তাকে “খতিয়ান” বলে।
খতিয়ান প্রস্তত করা হয় মৌজা ভিত্তিক। আমাদের দেশে CS, RS, SA এবং সিটি জরিপ সম্পন্ন হয়েছে। এসব জরিপকালে ভূমি মালিকের তথ্য প্রস্তত করা হয়েছে তাকে “খতিয়ান” বলে। যেমন CS খতিয়ান, RS খতিয়ান…
ভূমি জরিপ: CS, RS, PS, BS কি?

৪!ভূমি বা Land কাকে বলে?
“ভূমি কাকে বলে?”- এর আইনী সংজ্ঞা রয়েছে। The State Acquisition and Tenancy Act, 1950- এর ২(১৬)- ধারা মতে, “ভূমি (land) বলতে আবাদি, অনাবাদি অথবা বছরের যেকোন সময় পানিতে ভরা থাকে এবং ভূমি হতে প্রাপ্ত সুফল, ঘরবাড়ি বা দালান কোঠা বা মাটির সঙ্গে সংযুক্ত অন্যান্য দ্রব্য অথবা স্হায়ীভাবে সংযুক্ত দ্রব্য এর অন্তর্ভুক্ত বুঝাবে।”

৫! ভূমি জরিপ/রেকর্ড কাকে বলে? ভূমি জরিপ হচ্ছে ভূমির মালিকানা সম্বলিত ইতিহাসের সরেজমিন ইতিবৃত্ত।
আইনী সংজ্ঞা হচ্ছে, The Survey Act, 1875 এবং সংশ্লিষ্ট বিধিমালা অনুযায়ী সরকারের জরিপ বিভাগ সরেজমিন জরিপ করে ভূমির মালিকানার যে বিবরণ
এবং নকশা তৈরী করে তাই রেকর্ড বা জরিপ। অর্থাৎ রেকর্ড বা জরিপ হচ্ছে মালিকানার বিরবণ এবং নকশার সমন্বয়। একটি ভূমির মালিক কে এবং তার সীমানা কতটুকু এটা ভূমি জরিপের মাধ্যমে নকশা/ম্যাপ নির্ণয় করা হয়। এই নকশা এবং ম্যাপ অনুসারে মালিকানা সম্পর্কিত তখ্য যেমন ভূমিটি কোন মৌজায় অবস্থিত, এর খতিয়ান নাম্বার, ভূমির দাগ নাম্বার, মালিক ও দখলদারের বিবরণ ইত্যাদি প্রকাশিত হয় যাকে খতিয়ান বলে। রেকর্ড বা জরিপ
প্রচলিতভাবে খতিয়ান বা স্বত্ত্বলিপি বা Record of Rights (RoR) নামেও পরিচিত। রেকর্ড বা জরিপের ভিত্তিতে ভূমি মালিকানা সম্বলিত বিবরণ খতিয়ান হিসেবে পরিচিত। যেমন CS খতিয়ান, RS খতিয়ান, ইত্যাদি। আমাদের দেশে পরিচালিত ভূমি জরিপ বা রেকর্ড গুলো হচ্ছে;
1. CS -Cadastral Survey
2. SA- State Acquisition Survey (1956)
3. RS -Revitionel Survey
4. PS – Pakistan Survey
5. BS- Bangladesh Survey (1990)

ক) সি.এস. জরিপ/রেকর্ড (Cadastral Survey)
“সিএস” হলো Cadastral Survey (CS) এর সংক্ষিপ্ত রূপ। একে ভারত উপমহাদেশের প্রথম জরিপ বলা হয় যা ১৮৮৯ সাল হতে ১৯৪০ সালের মধ্যে পরিচালিত হয়। এই জরিপে বঙ্গীয় প্রজাতন্ত্র আইনের দশম অধ্যায়ের বিধান মতে দেশের সমস্ত জমির বিস্তারিত নকশা প্রস্তুত করার এবং প্রত্যেক মালিকের জন্য দাগ নম্বর উল্লেখপুর্বক খতিয়ান প্রস্তুত করার বিধান করা হয়। প্রথম জরিপ হলেও এই জরিপ প্রায় নির্ভূল হিসেবে গ্রহণযোগ্য। মামলার বা ভূমির জটিলতা নিরসনের ক্ষেত্রে এই জরিপকে বেস হিসেবে অনেক সময় গণ্য করা হয়।
খ) এস.এ. জরিপ (State Acquisition Survey)
১৯৫০ সালে জমিদারী অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন পাশ হওয়ার পর সরকার ১৯৫৬ সালে সমগ্র পূর্ববঙ্গ প্রদেশে জমিদারী অধিগ্রহনের সিদ্ধান্ত নেয় এরং রায়েতের সাথে সরকারের সরাসরি সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে জমিদারদের প্রদেয় ক্ষতিপুরণ নির্ধারন এবং রায়তের খাজনা নির্ধারনের জন্য এই জরিপ ছিল।
জরুরী তাগিদে জমিদারগন হইতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই জরিপ বা খাতিয়ান প্রণয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছিল।
গ) আর.এস. জরিপ ( Revisional Survey)
সি. এস. জরিপ সম্পন্ন হওয়ার সুদীর্ঘ ৫০ বছর পর এই জরিপ পরিচালিত হয়। জমি, মলিক এবং দখলদার ইত্যাদি হালনাগাদ করার নিমিত্তে এ জরিপ সম্পন্ন করা হয়। পূর্বেও ভুল ত্রুটি সংশোধনক্রমে আ. এস জরিপ এতই শুদ্ধ হয় যে এখনো জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের ক্ষেত্রে আর, এস জরিপের উপর নির্ভর করা হয়। এর খতিয়ান ও ম্যাপের উপর মানুষ এখনো অবিচল আস্থা পোষন করে।
ঘ) সিটি জরিপ (City Survey)
সিটি জরিপ এর আর এক নাম ঢাকা মহানগর জরিপ। আর.এস. জরিপ এর পর বাংলাদেশ সরকার কর্তিক অনুমতি ক্রমে এ জরিপ ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে সম্পন্ন করা হয়। এ যবত কালে সর্বশেষ ও আধুনিক জরিপ এটি। এ জরিপের পরচা কম্পিউটার প্রিন্ট এ পকাশিত হয়।

৬!“পর্চা” কাকে বলে?
ভূমি জরিপকালে চূড়ান্ত খতিয়ান প্রস্তত করার পূর্বে ভূমি মালিকদের নিকট খসড়া খতিয়ানের যে অনুলিপি ভুমি মালিকদের প্রদান করা করা হ তাকে “মাঠ পর্চা” বলে। এই মাঠ পর্চা রেভিনিউ/রাজস্ব অফিসার কর্তৃক তসদিব বা সত্যায়ন হওয়ার পর যদি কারো কোন আপত্তি থাকে তাহলে তা শোনানির পর খতিয়ান চুড়ান্তভাবে প্রকাশ করা হয়। আর চুড়ান্ত খতিয়ানের অনুলিপিকে “পর্চা” বলে।

৭!“মৌজা” কাকে বলে?
যখন CS জরিপ করা হয় তখন থানা ভিত্তিক এক বা একাধিক গ্রাম, ইউনিয়ন, পাড়া, মহল্লা অালাদা করে বিভিন্ন এককে ভাগ করে ক্রমিক নাম্বার দিয়ে চিহ্তি করা হয়েছে। আর বিভক্তকৃত এই প্রত্যেকটি একককে মৌজা বলে।
৮!“তফসিল” কাকে বলে?
জমির পরিচয় বহন করে এমন বিস্তারিত বিবরণকে “তফসিল” বলে। তফসিলে, মৌজার নাম, নাম্বার, খতিয়ার নাম্বার, দাগ নাম্বার, জমির চৌহদ্দি, জমির পরিমাণ সহ ইত্যাদি তথ্য সন্নিবেশ থাকে।

৯!“দাগ” নাম্বার কাকে বলে? যখন জরিপ ম্যাপ প্রস্তুত করা হয় তখন মৌজা নক্সায় ভূমির সীমানা চিহ্নিত বা সনাক্ত করার লক্ষ্যে প্রত্যেকটি ভূমি খন্ডকে আলাদা আলাদ নাম্বার দেয়া হয়। আর এই নাম্বারকে দাগ নাম্বার বলে। একেক দাগ নাম্বারে বিভিন্ন পরিমাণ ভূমি থাকতে পারে। মূলত, দাগ নাম্বার অনুসারে একটি মৌজার অধীনে ভূমি মালিকের সীমানা খূটিঁ বা আইল দিয়ে সরেজমিন প্রর্দশন করা হয়।

১০!“ছুটা দাগ” কাকে বলে?
ভূমি জরিপকালে প্রাথমিক অবস্থায় নকশা প্রস্তুত অথবা সংশোধনের সময় নকশার প্রতিটি ভূমি এককে যে নাম্বার দেওয়া হয় সে সময় যদি কোন নাম্বার ভুলে বাদ পড়ে তাকে ছুটা দাগ বলে। আবার প্রাথমিক পর্যায়ে যদি দুটি দাগ একত্রিত করে নকশা পুন: সংশোধন করা হয় তখন যে দাগ নাম্বার বাদ যায় তাকেও ছুটা দাগ বলে।

১১!“খানাপুরি” কাকে বলে? জরিপের সময় মৌজা নক্সা প্রস্তুত করার পর খতিয়ান প্রস্তুতকালে খতিয়ান ফর্মের প্রত্যেকটি কলাম জরিপ কর্মচারী কর্তৃক পূরন করার প্রক্রিয়াকে খানাপুরি বলে।

১২!“আমিন” কাকে বলে?
ভূমি জরিপের মাধ্যমে নক্সা ও খতিয়ান প্রস্তত ও ভূমি জরিপ কাজে নিযুক্ত কর্মচারীকে আমিন বলে।

১৩!“কিস্তোয়ার” কাকে বলে?
ভূমি জরিপ কালে চতুর্ভুজ ও মোরব্বা প্রস্তত করার পর সিকমি লাইনে চেইন চালিয়ে সঠিকভাবে খন্ড খন্ড ভুমির বাস্তব ভৌগলিক চিত্র অঙ্কনের মাধ্যমে নকশা প্রস্তুতের পদ্ধতিকে কিস্তোয়ার বলে।

১৪!“খাজনা” ককে বলে?
সরকার বার্ষিক ভিত্তিতে যে প্রজার নিকট থেকে ভূমি ব্যবহারের জন্য যে কর আদায় করে তাকে খাজনা বলে।

১৫!“দাখিলা” কাকে বলে?
ভূমি কর/খাজনা আদায় করে যে নির্দিষ্ট ফর্মে ( ফর্ম নং১০৭৭) ভূমি কর/খাজনা আদায়ের প্রমান পত্র বা রশিদ দেওয়া হয় তাকে দাখিলা বলা হয়।

১৬!"DCR কাকে বলে?
ভূমি কর ব্যতিত আন্যান্য সরকারি পাওনা আদায় করার পর যে নির্ধারিত ফর্মে (ফর্ম নং ২২২) রশিদ দেওয়া হয় তাকে DCR বলে।

১৭!“কবুলিয়ত” কাকে বলে?
সরকার কর্তৃক কৃষককে জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার প্রস্তাব প্রজা কর্তৃক গ্রহণ করে খাজনা প্রদানের যে অঙ্গিকার পত্র দেওয়া হয় তাকে কবুলিয়ত বলে।

১৮!“নাল জমি” কাকে বলে?
২/৩ ফসলি সমতল ভূমিকে নাল জমি বলা হয়।

১৯!“খাস জমি” কাকে বলে?
সরকারের ভূমি মন্ত্রনালয়ের আওতাধিন যে জমি সরকারের পক্ষে কালেক্টর বা ডিসি তত্ত্বাবধান করেন এমন জমিকে খাস জমি বলে।

২০!“চান্দিনা ভিটি” কাকে বলে?
হাট বাজারের স্থায়ী বা অস্থায়ী অকৃষি জমির যে অংশ প্রজার প্রতি বরাদ্ধদ দেওয়া হয় তাকে চান্দিনা ভিটি বলে।

২১!“ওয়াকফ” কাকে বলে?
ইসলামি বিধান অনুযায়ী কোন ভূমি তার মালিক কর্তৃক ধর্মীয় ও সমাজ কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের ব্যয় ভার বহন করার উদ্দেশ্যে কোন দান করাকে ওয়াকফ বলে।

২২!“মোতওয়াল্লী” কাকে বলে?
যিনি ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধান করেন তাকে মোতওয়াল্লী বলে। ওয়াকফ প্রশাসকের অনুমতি ব্যতিত মোতওয়াল্লী ওয়াকফ সম্পত্তি হস্তান্তর করতে পারে না।

২৩!“দেবোত্তর” সম্পত্তি কাকে বলে?
হিন্দুধর্ম মতে, ধর্মীয় কাজের জন্য উৎসর্গকৃত ভূমিকে দেবোত্তর সম্পত্তি বলে।

২৪!“ফরায়েজ” কাকে বলে?
ইসলামি বিধান মোতাবেক মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বন্টন করার নিয়ম ও প্রক্রিয়াকে ফরায়েজ বলে।

২৫!“ওয়ারিশ” কাকে বলে?
ওয়ারিশ অর্থ উত্তরাধিকারী । ধর্মীয় বিধানের অনুয়ায়ী কোন ব্যক্তি উইল না করে মৃত্যু বরন করলে তার স্ত্রী, সন্তান বা নিকট আত্মীয়দের মধ্যে যারা তার রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে মালিক হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন এমন ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণকে ওয়ারিশ বলে।
২৬! “সিকস্তি” কাকে বলে?
নদী ভাঙ্গনের ফলে যে জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায় তাকে সিকস্তি বলে। সিকস্তি জমি যদি ৩০ বছরের মধ্যে স্বস্থানে পয়ন্তি হয় তাহলে সিকস্তি হওয়ার প্রাক্কালে যিনি ভূমি মালিক ছিলেন তিনি বা তাহার উত্তরাধিকারগন উক্ত জমির মালিকানা শর্ত সাপেক্ষ্যে প্রাপ্য হবেন।

২৭!“পয়ন্তি” কাকে বলে?
নদী গর্ভ থেকে পলি মাটির চর পড়ে জমির সৃষ্টি হওয়াকে পয়ন্তি বলে।

২৮!“দলিল” কাকে বলে?
যে কোন লিখিত বিবরণ আইনগত সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য তাকে দলিল বলা হয়। তবে রেজিস্ট্রেশন আইনের বিধান মোতাবেক জমি ক্রেতা এবং বিক্রেতা সম্পত্তি হস্তান্তর করার জন্য যে চুক্তিপত্র সম্পাদন ও রেজিস্ট্রি করেন সাধারন ভাবে তাকে দলিল বলে।

ভূমির পরিমাপঃ

ডেসিমেল বা শতাংশ বা শতকঃ
***************************
১ শতাংশ = ৪৩৫.৬০ বর্গফুট
১ শতাংশ =১০০০ বর্গ লিঙ্ক
১ শতাংশ = ৪৮.৪০ বর্গগজ
৫ শতাংশ = ৩ কাঠা = ২১৭৮ বর্গফুট
১০ শতাংশ = ৬ কাঠা = ৪৩৫৬ বর্গফুট
১০০ শতাংশ = ১ একর =৪৩৫৬০বর্গফুট

কাঠা পরিমাপঃ
****************
১ কাঠা = ৭২০ বর্গফুট/৭২১.৪৬ বর্গফুট
১ কাঠা = ৮০ বর্গগজ/৮০.১৬ বর্গগজ
১ কাঠা = ১.৬৫ শতাংশ
২০ কাঠা = ১ বিঘা
৬০.৫ কাঠা =১ একর

একরের পরিমাপঃ
******************
১ একর = ১০০ শতক
১ একর = ৪৩,৫৬০ বর্গফুট
১ একর = ১,০০,০০০ বর্গ লিঙ্ক
১ একর = ৪,৮৪০ বর্গগজ
১ একর = ৬০.৫ কাঠা
১ একর = ৩ বিঘা ৮ ছটাক
১ একর = ১০ বর্গ চেইন = ১,০০,০০০ বর্গ লিঙ্ক
১ একর = ৪,০৪৭ বর্গমিটার
১ শতক = ০.৫ গন্ডা বা ৪৩৫.৬০ বর্গফুট

বিঘা পরিমাপঃ
*************
১ বিঘা = ১৪,৪০০ বর্গফুট /১৪৫২০বর্গফুট
১ বিঘা = ৩৩,০০০ বর্গলিঙ্ক
১ বিঘা = ৩৩ শতাংশ
১ বিঘা = ১৬০০ বর্গগজ/১৬১৩ বর্গগজ
১ বিঘা = ২০ কাঠা
৩ বিঘা ৮ ছটাক = ১.০০ একর

লিঙ্ক পরিমাপঃ
****************
১লিঙ্ক = ৭.৯ ইঞ্চি /৭.৯২ ইঞ্চি
১লিঙ্ক =০.৬৬ ফুট
১০০ লিঙ্ক = ৬৬ ফুট
১০০ লিঙ্ক = ১ গান্টার শিকল
১০০০ বর্গ লিঙ্ক = ১ শতক
১,০০,০০০ বর্গ লিঙ্ক = ১ একর

কানি একর শতকে ভূমির পরিমাপঃ
*******************************
১ কানি = ২০ গন্ডা
১ গন্ডা = ২ শতক
১ শতক =২ কড়া
১ কড়া = ৩ কন্ট ১ কন্ট = ২০ তিল

ফুট এর হিসাবঃ
*****************
১ কানি = ১৭২৮০ বগফুট
১ গন্ডা = ৮৬৪ বফু
১ শতক= ৪৩৫.৬০ বফু
১ কড়া = ২১৭.৮ বফু
১ কন্ট = ৭২ বফু
১ তিল= ৩.৬ বফু

বর্গগজ/বর্গফুট অনুযায়ী শতাংশ ও একরের পরিমাণঃ
*********************************
৪৮৪০ বর্গগজ = ১ একর
৪৩৫৬০ বর্গফুট= ১ একর
১৬১৩ বর্গগজ= ১ বিঘা
১৪৫২০বর্গফুট = ১ বিঘা
৪৮.৪০ বর্গগজ = ০১ শতাংশ
৪৩৫.৬০ বর্গফুট= ০১ শতাংশ
৮০.১৬ বর্গগজ= ১ কাঠা
৭২১.৪৬ বর্গফুট = ১ কাঠা
৫.০১ বর্গগজ = ১ ছটাক
৪৫.০৯ বর্গফুট= ১ কাঠা
২০ বর্গহাত = ১ ছটাকা
১৮ ইঞ্চি ফুট= ১ হাত 

শেয়ার করে টাইমলাইনে রেখে দিন।

বুধবার, ৩১ মে, ২০২৩

SMS এর মাধ্যমে সকল Results:

 





পিএসসি (PSC) রেজাল্ট এর জন্য SMS নিয়ম

DPE < space > THANA/UPAZILA CODE NUMBER < space > PSC ROLL NUMBER

এরপর সেন্ড করুন ১৬২২২ নাম্বারে

ইবতেদায়ী (EBT) রেজাল্ট এর জন্য SMS নিয়ম

EBT < space > Thana/Upazila Code Number < space > PSC Roll Number

এরপর সেন্ড করুন ১৬২২২ নাম্বারে

জেএসসি (JSC) রেজাল্ট এর জন্য SMS নিয়ম

JSC < space > 1st three letters of Education Board Name Roll < space > Year

এরপর সেন্ড করুন ১৬২২২ নাম্বারে

জেডিসি (JDC) রেজাল্ট এর জন্য SMS নিয়ম

JDC < space > MAD Roll < space > Year

এরপর সেন্ড করুন ১৬২২২ নাম্বারে


এসএসসি (SSC) রেজাল্ট এর জন্য SMS নিয়ম

SSC < space > 1st three letters of Education Board Name < space > Roll <space> Year


এরপর সেন্ড করুন ১৬২২২ নাম্বারে


এইচএসসি (HSC) রেজাল্ট এর জন্য SMS নিয়ম

HSC < space > 1st three letters of Education Board Name < space > Roll <space> Year


এরপর সেন্ড করুন ১৬২২২ নাম্বারে


দাখিল (DAKHIL) রেজাল্ট এর জন্য SMS নিয়ম

DAKHIL < space > MAD Roll < space > Year


এরপর সেন্ড করুন ১৬২২২ নাম্বারে


আলিম (Alim) রেজাল্ট এর জন্য SMS নিয়ম

ALIM < space > MAD < space > Roll < space > Year


এরপর সেন্ড করুন ১৬২২২ নাম্বারে


অনার্স (Honors) রেজাল্ট এর জন্য SMS নিয়ম

NU< space > H1/H2/H3/H4 < space >Registration/Roll


বিঃদ্রঃ অনার্স ১ম বর্ষের জন্য H1, ২য় বর্ষের জন্য H2, ৩য় বর্ষের জন্য H3, ৪র্থ বর্সের জন্য H4 লিখতে হবে।


এরপর সেন্ড করুন ১৬২২২ নাম্বারে

শনিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৩

কবিতাঃ মনের কথা

কবিতাঃ মনের কথা



মনের কথা বলিবলি করেও

তোমায় বলা আর হলো না ,

বলতে গেলেই ভয় হয় যদি

করো ছলনা ওগো ললনা ।


ওগো প্রিয়তমা ভুল বুঝে

আমায় ছেড়ে দূরে যেওনা ,

মুখ ফিরিয়ে আর থেকনা

কষ্ট আমায় আর দিওনা ।


আমি তোমার মন পেতে চাই

কোন ছল চাতুরী চাইনা ,

সত্যিকারের প্রেম চাই আমি

বিরহে কাতর যেন হইনা ।


THE END

কবিতাঃ ভালোবাসা নাকি মোহ

কবিতাঃ

 কবিতাঃ ভালোবাসা নাকি মোহ

রোমান আহমেদ

গল্প: সপ্ন

 

স্বপ্ন
Writer Roman Ahmed.
Short Story
STORY 04.


এক বালক ছিল যার স্বপ্ন ছিল একজন বিখ্যাত ক্রিকেট খেলোয়াড় হওয়া।

বালকটি প্রতিদিন তার স্বপ্ন পূরণ হবার জন্য প্রার্থনা করত।

কিন্তু জগন কুঁড়ে ছিল না তাই সে ক্লাবে অনুশীলনও করতো, সে দৌড়াতো, ব্যায়াম করতো এবং ভালো খাদ্য গ্রহণও করতো, এবং সে সর্বদা তার হোমওয়ার্ক শেষ

করতো ।

যাতে তার বন্ধুদের সাথে প্রতি দিনের শেষে ক্রিকেট খেলার জন্য সময় পায়।

একদিন, জগনকে তাঁর

বাবা বললেন যে তাঁরা

তাঁদের বাড়ি ছেড়ে

দেশের থেকে দূরে

ব্রিটেনে সফর করবে।

বালকটি খুব নার্ভাস

হয়ে গিয়েছিল কিন্তু

সে জানতো তাঁর বাবা

তাঁদের পরিবারের

জন্য সেরা কাজটাই

করবে।

তাই জগন তাঁর বাবাকে তাঁদের জিনসপত্র প্যাক করতে সাহায্য করতে লাগল এবং দীর্ঘ সফরের জন্য প্রস্তুত হতে লাগল।

সে তাঁর মাকেও

সাহায্য করেছিল বাড়ি খালি করতে এবং যখন তাঁকে তাঁর বোনকে দেখাশুনা করতে বলা হয়েছে তখনই সে তা করেছে।

যখন পরিবারটি শেষ পর্যন্ত লন্ডনে এসে পৌঁছায়, ছোট্ট জগন দূরে একাকীত্ব অনুভব

করতে লাগল। 

কিন্তু সে তাঁর নতুন জীবনে

স্বংকল্পবদ্ধ ছিল আর তাই সে একটা ক্লাব খুঁজে পেল যেখানে সে ক্রিকেট খেলতে পারবে এবং তাঁর স্বপ্ন পূরণ

করা চালিয়ে যেতে পারবে।

সে সর্বদা ক্রিকেট অনুশীলন করতো এবং ব্যায়াম করতো, এবং যখন সে স্থানীয় স্কুলে ভর্তি হয়েছিল সে তখন প্রতিনিয়ত নিশ্চিত হয়ে নিত যে তাঁর

হোমওয়ার্কটি সময়মত

সম্পূর্ণ হয়।

যাতে সে প্রতি দিনের শেষে

ক্রিকেট খেলতে পারে।

জগন আগের মতোই স্বংকল্পে অটল ছিল, এবং সে নিশ্চিত ছিল যে একদিন তাঁর স্বপ্ন পূরণ হবেই।

নতুন স্কুল মজার ছিল।ছোট্ট বালকের শীঘ্রই

নতুন নতুন বন্ধু তৈরী

হলো এবং সময় দ্রুত

বয়ে যেতে লাগলো।

কিন্তু জগনের বন্ধুরা

বুঝতো না কেন সে

ক্রিকেটে এত আগ্রহী

ছিল।


একজন বলল যে,,

"এটা সময়ের অপচয়।' 

একজন জিজ্ঞাসা করলো,, 

"কেন তুমি তোমার সকল এনার্জি বোকা স্বপ্নের পেছনে খরচ করছো, যা

কখনোই সত্যি হবে

না?"


প্রথমে, জগন এই সকল

প্রশ্নগুলি সহজেই উত্তর দিতে সক্ষম ছিল।

সে জানতো, কি সে চায় এবং সেটা পেতে তাকে কি করতে হবে।


কিন্তু সময় অতিবাহিত হবার সাথে সাথে, প্রশ্নটির উত্তর ক্রমে কঠিন থেকে আরো বেশি কঠিন পরিণত হতে থাকে। 


জগনের বন্ধুরা সর্বদা বাইরে গিয়ে মজা করতে পছন্দ করতো, এবং মেয়েদের সাথে কথা বলতে ভালোবাসতো।

তখন জগন তার কাজগুলো করতো।


একদিন, একটা বন্ধু বলল,,

'তুমি তোমার বোকা স্বপ্নটা ভুলে যাও আর আমাদের সাথে সিনেমা দেখতে চলো।'


জগন সিনেমা দেখতে

যেতে চাইছিল কারণ সে সর্বদা কাজ করতে করতে

ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলো।


যখন দেখলো সকলে মিলে সিনেমা দেখতে সকলে মিলে ঘুরতে অনেক মজা। তখন সে তার ক্লাবে ক্রিকেট প্রশিক্ষণ মিস করছিল, এবং পরের দিন আবারো সে প্রশিক্ষণ মিস করতে লাগলো, আবারো তার পরের দিন একইভাবে মিস করতে লাগলো।।


শীঘ্রই জগন তাঁর ক্রিকেট খেলোয়াড় হবার স্বপ্নের কথা সব ভুলে গেল।

বালকটি প্রায়ই তার বাবাকে ক্রিকেট ক্লাবে যাওয়া সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলতো। 


তখন আসলে সে বন্ধুদের সাথে ঘুরে বেড়িয়ে সময় পার করতে লাগলো। জগন বড় হতে লাগলো এবং তার বন্ধুদের সাথে মিলে আরো বেশি আড্ডা দিতে লাগলো।


এমনকি

সে স্থানীয় দোকান থেকে জিনিস চুরি করতেও লাগলো এবং খুব কুড়ে হয়ে যেতে লাগলো এবং আগের মতো আর তার জীবন সম্পর্কে উৎসাহী ছিল না। 


সে কেবল তার ক্রিকেট

শৈলী অনুশীলন করা বন্ধই করে নি, তার স্কুলে যাবার আগ্রহও হারিয়ে ফেললো এবং তার হোমওয়ার্ক

কখনোই সম্পূর্ণ করতো না। সর্বদাই সে তার বন্ধুদের সাথে ঘুরে বেড়াতো।

শিগ্রই স্কুল-জীবন শেষ হয়ে এলো এবং তখন জগন উপলব্ধি করলো সে কি ভুল করেছে। 

সে তার পরীক্ষায় খুব খারাপ করলো এবং অন্যান্য অনেকের মতোই কলেজে পড়তে পারলো না।


যখন সে একটা চাকরী পাবার জন্য চেষ্টা করতে

লাগলো তখন কেউ

তাকে চাকরীও দিল না।

কারণ তার কোন

যোগ্যতাই ছিল না।


জগন একটা খারাপ ছেলে হয়ে গেল। সে তার খারাপ কাজ করার জন্য অনুতাপ করতো।

সে এভাবেই তার সময় ও এনার্জি অপচয় করছিল। তাকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য কোন স্বপ্নই ছিল না।


একদিন জগনের বাবা তার সাথে কথা বললেন।

তিনি তাঁর ছেলেকে বললেন,,

»"আমার মনে আছে যখন তোমার একটা স্বপ্ন ছিল।"

'তুমি খুবই সংকল্পবদ্ধ ছিলে এবং তুমি প্রার্থনা করতে, কঠোর পরিশ্রম করতে এবং খুব ভালো পুত্র ছিলে।"


তখন ছেলেটির বাবাকে খুব দুঃখিত দেখাচ্ছিল,

তিনি তাঁর মাথা নত

করে রেখেছিলেন।

»'এখন কি হবে তোমার পুত্র?

তুমি যে সমস্যায় আছো, তোমার কোন চাকরী নেই, মনে আছে তুমি তোমার মাকে এবং আমাকে মিথ্যা কথা বলে আজে বাজে ভাবে তোমার সময়গুলি কাটিয়েছিলে।'


জগনের বাবা দীর্ঘ সময় ধরে কথা বললেন। তখন জগন তার বাবার কথায় নিজেকে প্রতিশ্রুতি দিল যে

সে তার জীবন পরিবর্তন করবে, এবং পিতামাতাকে গর্বিত করবে।


পরের দিন, জগন তার প্রাতরাশ তাড়াতাড়ি শেষ করে তার পুরানো ক্রিকেট ক্লাবে গেল।


সে তার কোচকে জিজ্ঞাসা করলো যে সে যদি আরো একবার প্রশিক্ষণ পায়।

বন্ধুত্বপূর্ণ মানুষটি রাজী হল তাকে ফিরিয়ে নিতে।


যেহেতু জগন কঠোর পরিশ্রম করতেন এবং তাঁর ক্রিড়া সম্পর্কে সংকল্পবদ্ধ ছিলেন। আর তাই সে তার

প্রশিক্ষণ আগের মতো করেই শুরু করেছিল।


সে দৌড়ালো এবং ব্যয়াম করলো, সে ভালো খাবার খেলো, তাড়াতাড়ি বিছানায়

শুতে গেল এবং তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠলো, এবং প্রার্থনা করলো যে তার কঠোর কাজ একদিন পুরষ্কৃত হবে।


কিন্তু জগন এটাও বুঝেছিল যে কঠোর পরিশ্রম তার নিজের পুরষ্কার।

সে আবার তার বন্ধুদের থেকে ফিরে এলো যা তার জন্য ভালো ছিল এবং সে তার পুরানো জীবনে

খারাপ কাজ ও সমস্যা

থেকে নিজেকে সরিয়ে

নিলো।


পরিবর্তে,

জগন তার ক্রিকেট খেলোয়াড় হবার স্বপ্লকে আরো একবার আঁকড়ে ধরলো।


বহু বছর পরে, জগন

একজন বিখ্যাত

ক্রিকেট খেলোয়াড়

হলো।

আর যখন একটা ছোট ছেলে ম্যাচের পরে তার কাছে দৌড়ে এসে জিজ্ঞাসা করলো,,

কেমন করে সে এমন হলো?


জগন বলল যে,,

এ সবই একটা স্বপ্ন থেকে শুরু হয়েছিল। 

সে আবারো হেঁসে বলল,

'তোমার অবশ্যই এখন একটা স্বপ্ন থাকতে হবে।'



[এ গল্পটির মুলভাব মুলত স্বপ্নকে নিয়ে যা পাঠকদের মনের স্বপ্নকে আরো দৃঢ় করে তুলবে। জীবনে সফল হওয়ার জন্য আমাদের অবশ্যই স্বপ্ন দেখতে হবে। তবে সেটা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে নয়। কঠোর পরিশ্রম আর দৃঢ় ইচ্ছাই মানুষকে তার স্বপ্নের কাছে এগিয়ে নিয়ে যাবে।]


*ভুলত্রুটি মাজনীয়।

*প্রায় ১বছর পর গল্প লিখলাম।

*আশা করি গল্পটি আপনাদের ভালো লেগেছে।


ধন্যবাদ।

আমারও একটা তুমি ছিলে জানো

আমারও একটা তুমি ছিলো জানো

Writer Roman Ahmed