পৃষ্ঠাসমূহ

Translate

আমাদের সাইটে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের সাইটের ডিজাইন এর কাজ চলছে। এবং নিয়মিত পোস্ট হচ্ছে। যে কোন প্রয়োজনে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। যোগাযোগ এর জন্য Email করুন এই ঠিকানায়ঃ mdrommanulislam@gmail.com ধন্যবাদ।

  • Our Mobile Application

    এক দেশ এক অ্যাপ, একটি অ্যাপ এর ভিতরে আমরাই আপনাকে দিচ্ছি আপনার প্রয়োজনীয় সব ওয়েব পেজের লিঙ্ক। তাই আপনার সুবিধার্থে অবশ্যই অ্যাপটি ডাউনলোড করে রাখতে পারেন

  • Facebook Page:

    আমাদের সাথে ফেসবুকে যুক্ত হতে Slide এ Click করুন

  • Smart Touch YT

    This is our YouTube chanel, please subscribe ...

শনিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৩

কবিতাঃ মনের কথা

কবিতাঃ মনের কথা



মনের কথা বলিবলি করেও

তোমায় বলা আর হলো না ,

বলতে গেলেই ভয় হয় যদি

করো ছলনা ওগো ললনা ।


ওগো প্রিয়তমা ভুল বুঝে

আমায় ছেড়ে দূরে যেওনা ,

মুখ ফিরিয়ে আর থেকনা

কষ্ট আমায় আর দিওনা ।


আমি তোমার মন পেতে চাই

কোন ছল চাতুরী চাইনা ,

সত্যিকারের প্রেম চাই আমি

বিরহে কাতর যেন হইনা ।


THE END

কবিতাঃ ভালোবাসা নাকি মোহ

কবিতাঃ

 কবিতাঃ ভালোবাসা নাকি মোহ

রোমান আহমেদ

গল্প: সপ্ন

 

স্বপ্ন
Writer Roman Ahmed.
Short Story
STORY 04.


এক বালক ছিল যার স্বপ্ন ছিল একজন বিখ্যাত ক্রিকেট খেলোয়াড় হওয়া।

বালকটি প্রতিদিন তার স্বপ্ন পূরণ হবার জন্য প্রার্থনা করত।

কিন্তু জগন কুঁড়ে ছিল না তাই সে ক্লাবে অনুশীলনও করতো, সে দৌড়াতো, ব্যায়াম করতো এবং ভালো খাদ্য গ্রহণও করতো, এবং সে সর্বদা তার হোমওয়ার্ক শেষ

করতো ।

যাতে তার বন্ধুদের সাথে প্রতি দিনের শেষে ক্রিকেট খেলার জন্য সময় পায়।

একদিন, জগনকে তাঁর

বাবা বললেন যে তাঁরা

তাঁদের বাড়ি ছেড়ে

দেশের থেকে দূরে

ব্রিটেনে সফর করবে।

বালকটি খুব নার্ভাস

হয়ে গিয়েছিল কিন্তু

সে জানতো তাঁর বাবা

তাঁদের পরিবারের

জন্য সেরা কাজটাই

করবে।

তাই জগন তাঁর বাবাকে তাঁদের জিনসপত্র প্যাক করতে সাহায্য করতে লাগল এবং দীর্ঘ সফরের জন্য প্রস্তুত হতে লাগল।

সে তাঁর মাকেও

সাহায্য করেছিল বাড়ি খালি করতে এবং যখন তাঁকে তাঁর বোনকে দেখাশুনা করতে বলা হয়েছে তখনই সে তা করেছে।

যখন পরিবারটি শেষ পর্যন্ত লন্ডনে এসে পৌঁছায়, ছোট্ট জগন দূরে একাকীত্ব অনুভব

করতে লাগল। 

কিন্তু সে তাঁর নতুন জীবনে

স্বংকল্পবদ্ধ ছিল আর তাই সে একটা ক্লাব খুঁজে পেল যেখানে সে ক্রিকেট খেলতে পারবে এবং তাঁর স্বপ্ন পূরণ

করা চালিয়ে যেতে পারবে।

সে সর্বদা ক্রিকেট অনুশীলন করতো এবং ব্যায়াম করতো, এবং যখন সে স্থানীয় স্কুলে ভর্তি হয়েছিল সে তখন প্রতিনিয়ত নিশ্চিত হয়ে নিত যে তাঁর

হোমওয়ার্কটি সময়মত

সম্পূর্ণ হয়।

যাতে সে প্রতি দিনের শেষে

ক্রিকেট খেলতে পারে।

জগন আগের মতোই স্বংকল্পে অটল ছিল, এবং সে নিশ্চিত ছিল যে একদিন তাঁর স্বপ্ন পূরণ হবেই।

নতুন স্কুল মজার ছিল।ছোট্ট বালকের শীঘ্রই

নতুন নতুন বন্ধু তৈরী

হলো এবং সময় দ্রুত

বয়ে যেতে লাগলো।

কিন্তু জগনের বন্ধুরা

বুঝতো না কেন সে

ক্রিকেটে এত আগ্রহী

ছিল।


একজন বলল যে,,

"এটা সময়ের অপচয়।' 

একজন জিজ্ঞাসা করলো,, 

"কেন তুমি তোমার সকল এনার্জি বোকা স্বপ্নের পেছনে খরচ করছো, যা

কখনোই সত্যি হবে

না?"


প্রথমে, জগন এই সকল

প্রশ্নগুলি সহজেই উত্তর দিতে সক্ষম ছিল।

সে জানতো, কি সে চায় এবং সেটা পেতে তাকে কি করতে হবে।


কিন্তু সময় অতিবাহিত হবার সাথে সাথে, প্রশ্নটির উত্তর ক্রমে কঠিন থেকে আরো বেশি কঠিন পরিণত হতে থাকে। 


জগনের বন্ধুরা সর্বদা বাইরে গিয়ে মজা করতে পছন্দ করতো, এবং মেয়েদের সাথে কথা বলতে ভালোবাসতো।

তখন জগন তার কাজগুলো করতো।


একদিন, একটা বন্ধু বলল,,

'তুমি তোমার বোকা স্বপ্নটা ভুলে যাও আর আমাদের সাথে সিনেমা দেখতে চলো।'


জগন সিনেমা দেখতে

যেতে চাইছিল কারণ সে সর্বদা কাজ করতে করতে

ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলো।


যখন দেখলো সকলে মিলে সিনেমা দেখতে সকলে মিলে ঘুরতে অনেক মজা। তখন সে তার ক্লাবে ক্রিকেট প্রশিক্ষণ মিস করছিল, এবং পরের দিন আবারো সে প্রশিক্ষণ মিস করতে লাগলো, আবারো তার পরের দিন একইভাবে মিস করতে লাগলো।।


শীঘ্রই জগন তাঁর ক্রিকেট খেলোয়াড় হবার স্বপ্নের কথা সব ভুলে গেল।

বালকটি প্রায়ই তার বাবাকে ক্রিকেট ক্লাবে যাওয়া সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলতো। 


তখন আসলে সে বন্ধুদের সাথে ঘুরে বেড়িয়ে সময় পার করতে লাগলো। জগন বড় হতে লাগলো এবং তার বন্ধুদের সাথে মিলে আরো বেশি আড্ডা দিতে লাগলো।


এমনকি

সে স্থানীয় দোকান থেকে জিনিস চুরি করতেও লাগলো এবং খুব কুড়ে হয়ে যেতে লাগলো এবং আগের মতো আর তার জীবন সম্পর্কে উৎসাহী ছিল না। 


সে কেবল তার ক্রিকেট

শৈলী অনুশীলন করা বন্ধই করে নি, তার স্কুলে যাবার আগ্রহও হারিয়ে ফেললো এবং তার হোমওয়ার্ক

কখনোই সম্পূর্ণ করতো না। সর্বদাই সে তার বন্ধুদের সাথে ঘুরে বেড়াতো।

শিগ্রই স্কুল-জীবন শেষ হয়ে এলো এবং তখন জগন উপলব্ধি করলো সে কি ভুল করেছে। 

সে তার পরীক্ষায় খুব খারাপ করলো এবং অন্যান্য অনেকের মতোই কলেজে পড়তে পারলো না।


যখন সে একটা চাকরী পাবার জন্য চেষ্টা করতে

লাগলো তখন কেউ

তাকে চাকরীও দিল না।

কারণ তার কোন

যোগ্যতাই ছিল না।


জগন একটা খারাপ ছেলে হয়ে গেল। সে তার খারাপ কাজ করার জন্য অনুতাপ করতো।

সে এভাবেই তার সময় ও এনার্জি অপচয় করছিল। তাকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য কোন স্বপ্নই ছিল না।


একদিন জগনের বাবা তার সাথে কথা বললেন।

তিনি তাঁর ছেলেকে বললেন,,

»"আমার মনে আছে যখন তোমার একটা স্বপ্ন ছিল।"

'তুমি খুবই সংকল্পবদ্ধ ছিলে এবং তুমি প্রার্থনা করতে, কঠোর পরিশ্রম করতে এবং খুব ভালো পুত্র ছিলে।"


তখন ছেলেটির বাবাকে খুব দুঃখিত দেখাচ্ছিল,

তিনি তাঁর মাথা নত

করে রেখেছিলেন।

»'এখন কি হবে তোমার পুত্র?

তুমি যে সমস্যায় আছো, তোমার কোন চাকরী নেই, মনে আছে তুমি তোমার মাকে এবং আমাকে মিথ্যা কথা বলে আজে বাজে ভাবে তোমার সময়গুলি কাটিয়েছিলে।'


জগনের বাবা দীর্ঘ সময় ধরে কথা বললেন। তখন জগন তার বাবার কথায় নিজেকে প্রতিশ্রুতি দিল যে

সে তার জীবন পরিবর্তন করবে, এবং পিতামাতাকে গর্বিত করবে।


পরের দিন, জগন তার প্রাতরাশ তাড়াতাড়ি শেষ করে তার পুরানো ক্রিকেট ক্লাবে গেল।


সে তার কোচকে জিজ্ঞাসা করলো যে সে যদি আরো একবার প্রশিক্ষণ পায়।

বন্ধুত্বপূর্ণ মানুষটি রাজী হল তাকে ফিরিয়ে নিতে।


যেহেতু জগন কঠোর পরিশ্রম করতেন এবং তাঁর ক্রিড়া সম্পর্কে সংকল্পবদ্ধ ছিলেন। আর তাই সে তার

প্রশিক্ষণ আগের মতো করেই শুরু করেছিল।


সে দৌড়ালো এবং ব্যয়াম করলো, সে ভালো খাবার খেলো, তাড়াতাড়ি বিছানায়

শুতে গেল এবং তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠলো, এবং প্রার্থনা করলো যে তার কঠোর কাজ একদিন পুরষ্কৃত হবে।


কিন্তু জগন এটাও বুঝেছিল যে কঠোর পরিশ্রম তার নিজের পুরষ্কার।

সে আবার তার বন্ধুদের থেকে ফিরে এলো যা তার জন্য ভালো ছিল এবং সে তার পুরানো জীবনে

খারাপ কাজ ও সমস্যা

থেকে নিজেকে সরিয়ে

নিলো।


পরিবর্তে,

জগন তার ক্রিকেট খেলোয়াড় হবার স্বপ্লকে আরো একবার আঁকড়ে ধরলো।


বহু বছর পরে, জগন

একজন বিখ্যাত

ক্রিকেট খেলোয়াড়

হলো।

আর যখন একটা ছোট ছেলে ম্যাচের পরে তার কাছে দৌড়ে এসে জিজ্ঞাসা করলো,,

কেমন করে সে এমন হলো?


জগন বলল যে,,

এ সবই একটা স্বপ্ন থেকে শুরু হয়েছিল। 

সে আবারো হেঁসে বলল,

'তোমার অবশ্যই এখন একটা স্বপ্ন থাকতে হবে।'



[এ গল্পটির মুলভাব মুলত স্বপ্নকে নিয়ে যা পাঠকদের মনের স্বপ্নকে আরো দৃঢ় করে তুলবে। জীবনে সফল হওয়ার জন্য আমাদের অবশ্যই স্বপ্ন দেখতে হবে। তবে সেটা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে নয়। কঠোর পরিশ্রম আর দৃঢ় ইচ্ছাই মানুষকে তার স্বপ্নের কাছে এগিয়ে নিয়ে যাবে।]


*ভুলত্রুটি মাজনীয়।

*প্রায় ১বছর পর গল্প লিখলাম।

*আশা করি গল্পটি আপনাদের ভালো লেগেছে।


ধন্যবাদ।

আমারও একটা তুমি ছিলে জানো

আমারও একটা তুমি ছিলো জানো

Writer Roman Ahmed

আমরা কেন যেন মানুষের চলে যাওয়া মেনে নিতে পারি না ...

আমরা কেন যেন মানুষের চলে যাওয়া মেনে নিতে পারি না ...

আমরা কেন যেন  মানুষের চলে যাওয়া  মেনে নিতে পারি না ...

"আমরা কেন যেন মানুষের চলে যাওয়া মেনে নিতে পারি না ...

আমাদের মনে হয়, সবই

ঠিকঠাক আছে, তবুও

কেন মানুষ চলে যাবে?

একটা মানুষ কেন চলে

যায়? কখন চলে যায়?

খুব সহজ কথায় যদি

বলি, একটা মানুষ যখন

বিশ্বাস করতে শুরু করে

যে সে আমার সাথে ভালো

থাকবে না, ঠিক তখনই

সে চলে যায় !!

কিংবা একটা মানুষ যখন

বিশ্বাস করতে শুরু

করে, আমার সাথে সে

যতটা ভালো আছে, অন্য

কোন একটা জায়গায়

কিংবা অন্য কোন একটা

মানুষের সাথে সে এর

চেয়েও বেশি ভালো

থাকবে ... তখনই সে চলে

যায় !!

আমরা কি কারো চলে

যাওয়া ঠেকাতে পারি?

আটকে রাখতে পারি?

নাহ ... একটা মানুষের

জন্য আমরা অনেক কিছু

করতে পারি ... অনেক

স্যাক্রিফাইস করতে

পারি, অনেক সাপোর্ট

দিতে পারি ... হাত ধরে

কিংবা কাঁধে হাত রেখে

অনেকটা পথ হাঁটতে

পারি ... সুখ দুঃখ ভাগ

করে নিতে পারি ...

তাকে সমস্ত কিছু

উজাড় করে দিতে পারি

... কিন্তু তারপর?

দিনশেষে একটা মানুষ

কি বিশ্বাস করবে - তা

আমি বদলাতে পারি না !!

দিনশেষে একটা মানুষের

ভালোলাগার জায়গাটা

কোটি টাকা দিয়েও

আমি কিনতে পারি না

... সম্ভব না !!

কারো চলে যাওয়া

ঠেকানোর ক্ষমতা

আমার নেই ... আমি আমার

জায়গা থেকে আমার মত

চেষ্টা করতে পারি ...

কিন্তু ঐ মানুষটা যদি

বিশ্বাস করতে শুরু

করে, আমার সাথে সে

ভালো নেই ... আমার

কোন চেষ্টা, কোন

স্যাক্রিফাইস, কোন

কথা, কোন শব্দ, কোন

অনুরোধ, কোন কান্না -

কোন কিছুই তাকে

স্পর্শ করতে পারবে না !!

না

মানুষকে জোর করে

আটকে রাখা যায় না ...

দিনশেষে মানুষ তার

ভালোলাগার জায়গায়

কোন না কোনভাবে ছুটে

যাবেই ... আর যদি

কাউকে জোর করে

আটকে রাখি, সে

প্রতারণা করবে, হয়

নিজের অনুভূতির সাথে

নাহয় আমার সাথে !!

ঠিক যে মুহুর্ত থেকে

আমি কাউকে আটকে

রাখছি, আমি তাকে

হারিয়ে ফেলছি ...

হয়তো চোখের সামনে

রক্ত-মাংসের একটা

মানুষ দাঁড়িয়ে আছে,

কিন্তু সে মানুষটাকে

আমি খুঁজে পাচ্ছি না ...

সে অন্য কোথাও হারিয়ে

গেছে ... আর আমি তাকে

হারিয়ে ফেলেছি !!

ভেতরে ভেতরে মরে

যাওয়া কত শত মানুষ

আশপাশটায় পৃথিবীর

নিয়মে বেঁচে আছে - তার

হিসেব কেউ জানে না ...

কেউ চলে গিয়ে ভালো

নেই, কেউ চলে যেতে না

পেরে ভালো নেই আর

কেউ কারো চলে

যাওয়াতে ভালো নেই ...

এলোমেলো জটিল সব

হিসেব নিকেশগুলো

শেষমেশ ভালো না থাকার

মিছিলে খুব যত্ন করে

মিলে যায় ... মিলেমিশে

একাকার হয়ে যায়!"""


THE END

তারাবি নামাজের নিয়ত দোয়া ও মোনাজাত

প্রতীকী ছবি

প্রতীকি ছবিঃ

ইবাদতের বসন্তকাল পবিত্র মাসে রমজান। এ মাসে প্রত্যেক ইবাদতের সওয়াব কয়েকগুণ। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘রমজান মাসে যে ব্যক্তি একটি নফল আদায় করলো সে যেন অন্য মাসে একটি ফরজ আদায় করলো। আর যে এ মাসে একটি ফরজ আদায় করলো সে যেন অন্য মাসের ৭০টি ফরজ আদায় করলো। (শুআবুল ঈমান : ৩/৩০৫-৩০৬)


এ মাসে মুসলমানরা ব্যাপকভাবে যেসব ইবাদত করে থাকে তার একটি হলো তারাবি নামাজ। তারাবি নামাজের বিশেষ ফজিলত রয়েছে। আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে তারাবি পড়ার প্রতি উৎসাহিত করেছেন। এক হাদিসে তিনি বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে ও পরকালের আশায় রমজানের রাতে কিয়ামুল লাইল (তারাবি) আদায় করবে, তার অতীতের পাপ মার্জনা করা হবে।’ (নাসায়ি, হাদিস : ২২০৫)


তারাবির নামাজ


রাতের বিশেষ এই নামাজে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের অনেকেই অংশ গ্রহণ করেন। তারাবিকে ঘিরে দেশের মসজিদগুলোতে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা যায়। সাধারণ মুসলমানদের সুবিধার্থে তারাবি নামাজের নিয়ম, নিয়ত, দোয়া ও মোনাজাত তুলে ধরা হলো-


তারাবি নামাজ পড়ার নিয়মঃ


এশার ফরজ নামাজ পড়ার পরে তারাবি নামাজ পড়তে হয়। তারাবি নামাজ দুই রাকাত করে পড়া হয়। প্রত্যেক দুই রাকাতের পর সালাম ফেরানো হয়। এভাবে চার রাকাত পড়ার পরে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়া হয়। এসময় বিভিন্ন তাসবিহ-তাহলিল পড়া উত্তম।




তারাবি নামাজের নিয়তঃ


প্রত্যেক আমলের জন্য নিয়ত করতে হয়। তারাবি নামাজের জন্যও নিয়ত করা হয়। নিয়ত মনে মনে বাংলাতেও করা যায়। আমাদের দেশের প্রচলিত তারাবির আরবি নিয়তটি হলো-
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ للهِ تَعَالَى رَكْعَتَى صَلَوةِ التَّرَاوِيْحِ سُنَّةُ رَسُوْلِ اللهِ تَعَالَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اللهُ اَكْبَرْ
উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা, রাকাআতাই সালাতিত তারাবি সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তায়ালা, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি, আল্লাহু আকবার।
অর্থ : আমি কেবলামুখী হয়ে দুই রাকাত তারাবি সুন্নত নামাজের নিয়ত করছি; আল্লাহু আকবার।
তারাবি নামাজের নিয়ত আরবিতে করা আবশ্যক বা বাধ্যতামূলক নয়। বাংলাতেও এভাবে নিয়ত করা যাবে যে, ‘আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তারাবি -এর দুই রাকাত নামাজ কেবলামুখী হয়ে (জামাত হলে- এ ইমামের পেছনে) পড়ছি- (اَللهُ اَكْبَر) আল্লাহু আকবার।







তারাবি নামাজের দোয়াঃ


তারাবি নামাজে প্রতি চার রাকাত পর বিশ্রাম নেওয়া হয়। এ সময় একটি দোয়া পড়ার প্রচলন রয়েছে আমাদের দেশে। প্রায় সব মসজিদের মুসল্লিরা এই দোয়াটি পড়ে থাকেন। দোয়াটি হলো- 
سُبْحانَ ذِي الْمُلْكِ وَالْمَلَكُوتِ سُبْحانَ ذِي الْعِزَّةِ وَالْعَظْمَةِ وَالْهَيْبَةِ وَالْقُدْرَةِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْجَبَرُوْتِ سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْحَيِّ الَّذِيْ لَا يَنَامُ وَلَا يَمُوْتُ اَبَدًا اَبَدَ سُبُّوْحٌ قُدُّوْسٌ رَبُّنا وَرَبُّ المْلائِكَةِ وَالرُّوْحِ
উচ্চারণ : ‘সুবহানা জিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি, সুবহানা জিল ইয্যাতি ওয়াল আঝমাতি ওয়াল হায়বাতি ওয়াল কুদরাতি ওয়াল কিব্রিয়ায়ি ওয়াল ঝাবারুতি। সুবহানাল মালিকিল হাইয়্যিল্লাজি লা ইয়ানামু ওয়া লা ইয়ামুত আবাদান আবাদ; সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালায়িকাতি ওয়ার রূহ।’
তবে মনে রাখতে হবে, তারাবি নামাজ বিশুদ্ধ হওয়া বা না হওয়ার সঙ্গে এই দোয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। এই দোয়া না পড়লে তারাবি নামাজ হবে না, কোনওভাবেই এমন মনে করা  যাবে না। মূলত এ দোয়ার সঙ্গে তারাবি নামাজ হওয়া কিংবা না হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
এ সময় কোরআন-হাদিসে বর্ণিত যেকোনো দোয়াই পড়া যাবে। আলেমদের মতে, তারাবি নামাজে চার রাকাত পর বিশ্রামের সময়টিতে কোরআন-হাদিসে বর্ণিত দোয়া, তওবা,-ইসতেগফারগুলো পড়াই উত্তম।





তারাবি নামাজের মোনাজাতঃ


প্রতিদিন তারাবি নামাজ শেষে দেশের মসজিদগুলোতে একটি দোয়ার পড়ে মোনাজাতের প্রচলন রয়েছে। প্রাচীনকাল থেকেই দেশব্যাপী মসজিদগুলোতে এই দোয়াটি হলো-

اَللَهُمَّ اِنَّا نَسْئَالُكَ الْجَنَّةَ وَ نَعُوْذُبِكَ مِنَ النَّارِ يَا خَالِقَ الْجَنَّةَ وَالنَّارِ- بِرَحْمَتِكَ يَاعَزِيْزُ يَا غَفَّارُ يَا كَرِيْمُ يَا سَتَّارُ يَا رَحِيْمُ يَاجَبَّارُ يَاخَالِقُ يَابَارُّ اَللَّهُمَّ اَجِرْنَا مِنَ النَّارِ يَا مُجِيْرُ يَا مُجِيْرُ يَا مُجِيْرُ- بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّحِمِيْنَ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকাল জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনাননার। ইয়া খালিক্বাল জান্নাতি ওয়ান নার। বিরাহমাতিকা ইয়া আঝিঝু ইয়া গাফফার, ইয়া কারিমু ইয়া সাত্তার, ইয়া রাহিমু ইয়া ঝাব্বার, ইয়া খালিকু ইয়া বার্রু। আল্লাহুম্মা আঝিরনা মিনান নার। ইয়া মুঝিরু, ইয়া মুঝিরু, ইয়া মুঝির। বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।

দোয়াটি পড়ার ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে তারাবি নামাজ হওয়া বা না হওয়ার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। যেমন তারাবি নামাজের প্রতি চার রাকাত পর পর পড়া দোয়াটির সঙ্গে তারাবি বিশুদ্ধ হওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই।

আমাদের সমাজে অনেকে মনে করেন তারাবি নামাজ সঠিক নিয়মে আদায়ের জন্য নামাজ শেষে এই দোয়াটি পড়া আবশ্যক। এমন ধারণা বা বিশ্বাস মোটেও ঠিক নয়।













Our mobile application

বিভিন্ন গল্প, উপন্যাস, কবিতা, এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষারথীদের বিভিন্ন বিষয় এর আপডেট নিউজ প্রদান করা হয়।

এটি আমাদের একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন। এই অ্যাপটি ইন্সটল করে রাখলে আমাদের আপডেট নিউজ গুলো অতি সহজেই আপনার মোবাইল স্ক্রীন এ পেয়ে যাবেন। তাই চাইলে অ্যাপটি ইন্সটল করে রাখতে পারেন।